Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শপথ অনুষ্ঠানে যাননি এরশাদ-রওশন-ইনু, গম্ভীর ছিলেন আ’ লীগের পুরাতনরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৪ PM
আপডেট: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনের জনাকীর্ণ দরবার হলে শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিপরিষদের ৪৭ সদস্যের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এদিকে দুপুরের পর থেকেই বঙ্গভবনে ঢোকার জন্য ভিড় জমছিল। প্রায় হাজার খানেক অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার বেশ আগেই দরবার হল পরিপূর্ণ। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থক বিভিন্ন পেশাজীবী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সংখ্যাই বেশি। আর ছিলেন সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।

অপরদিকে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। এ সময় রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।

এছাড়া আগতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, তাদের শরিক দল এবং সমর্থক বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতার সংখ্যাই বেশি ছিল। আর ছিলেন সামরিক-বেসামরিক আমলা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। আগেভাগে এসে সবাই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, মেতে ওঠেন হাস্যরসে।

আওয়ামী লীগের যে সিনিয়র নেতারা এবার মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি, তাদের অনেককেই দেখা গেছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সামনের দিকের কাতারেই বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী। ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এম মুহিত। তাদের অনেকেই ছিলেন বেশ গুরুগম্ভীর।

নতুন সংসদে যিনি বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন, সেই সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদকে অনুষ্ঠান দেখা যায়নি। বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ। তার স্ত্রী রওশন এরশাদও গরহাজির ছিলেন। চোখে পড়েনি জাতীয় পার্টির কোন প্রথম সারির নেতাকে। দেখা যায়নি বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের কোন নেতাকেও।

অপরদিকে দরবার হলের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক স্ত্রী পেপপিকে নিয়ে এসেছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি এবং শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলও ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সিইসি কেএম নূরুল হুদাকেও দেখা গেছে নতুন সরকারের অভিষেক অনুষ্ঠানে।

এদিকে বেলা সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্য শপথ নিয়েছেন। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথ পড়ান। এর মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা।

নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন ২৪ জন। তাঁরা হলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক), ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্র্যাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনাইদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হলেন হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

Bootstrap Image Preview