সদ্য বিদায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মন্ত্রিসভার আকার ছোট হওয়া এবং ১৪ দলের কোনও নেতাকে মন্ত্রিসভায় না নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শেষ কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কথা ছিল আন্দোলন, নির্বাচন আর সরকার নিয়ে। কিন্তু শরিকদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। ব্যাখ্যাও হয়তো চাওয়া হতে পারে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, তবে ১৪ দলের সমন্বয়কের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে, কেন মন্ত্রিসভায় রাখা হলো না। তবে কোন দাবি থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘নতুনরা ভালো করবেন।’
প্রসঙ্গত, এদিকে এবারের মন্ত্রিসভায় অধিকাংশই নতুন মুখ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে চমকের কথা বলেছিলেন তা এবার দেখা গেল। ৪৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় এবার ২৭ জন আছেন, যারা প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন। এছাড়া চারজন আছেন যারা সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও এর আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সব মিলিয়ে ৩১ জন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ।
মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। এছাড়া রয়েছেন মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী ৩ জন।