সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়, বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাসের দাবিতে দক্ষিণকানে আজও বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সারে ৯ টায় উত্তরার চৈতি গার্মেন্টসের সামনে শ্রমিকরা জড়ো হলে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আজমপুর কাচা বাজারে বাসিন্দা শাহরুখ প্রিয়ম জানান, কিছুক্ষন পর পর আশে পাশের গলি থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বের হচ্ছে শ্রমিকরা।এ সময় 'আমাদের দাবি মানতে হবে, রাজপথ ছাড়বো না, আবার কোনোটা থেকে শোনা যাচ্ছে দাবি দাবি একদাবি, আমাদের দাবি ন্যায্য দাবি' ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এর আগে, শনিবার বিকালে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর পর রবিবার সকালে উত্তরায় বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কারখানার মালিক ও পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা দুপুর দু’টায় রাস্তা থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর মালিক-শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাক খাতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা মজুরি চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ২ হাজার ৫০ টাকা এবং অন্যান্য ১ হাজার ৮৫০ টাকা।