Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৌদি নারীরা ‘এসএমএস'-এ বিবাহ বিচ্ছেদের বার্তা পাবেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৩৪ PM
আপডেট: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সৌদি আরবে নতুন একটি আইন জারি করা হয়েছে, যার ফলে দেশটির নারীরা খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার তথ্য জানতে পারবেন। আজ রবিবার থেকে নতুন এই আইন কার্যকর হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী এখন থেকে সৌদি আরবে কোনো নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন অনুমোদন হলে আদালত এসএমএস পাঠিয়ে তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

 

রোববার (৬ জানুয়ারি) থেকে সৌদি আরবের আদালতে এই বিষয়ে নতুন একটি আইন কার্যকর হয়েছে।

সৌদি আরবের গণমাধ্যম ডেইলি ওকাজ জানিয়েছে, নতুন এই আইন অনুযায়ী এখন থেকে সৌদি আরবে কোনো নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন অনুমোদন হলে আদালত এসএমএস পাঠিয়ে তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

এর আগের আইন অনুযায়ী স্ত্রীদের কোনো কিছু না জানিয়েই বিয়ে ভেঙে দিতে পারতেন স্বামীরা। এ বিষয়ে দেশটির আদালতে অভিযোগ করে আসছিলেন অনেক নারী।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই নতুন আইন করা হয়েছে বলে ডেইলি ওকাজকে জানান অ্যাডভোকেট সামিয়া আল-হিনদি।

নাসরিন আল-গামদি নামে এক সৌদি নারী আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, ‘নতুন এই পদক্ষেপে বিচ্ছেদের পরে নারীরা তাদের অধিকার রক্ষা করতে পারবেন। পাশাপাশি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারও রোধ হবে।’

সামিয়া আল-হিনদি নামে আরেক নারী আইনজীবী বলেন, সৌদি আরবের অনেক নারী আদালতে অভিযোগ করেছেন যে, তাদেরকে কোনো কিছু না জানিয়েই 'তালাক' দেয়া হয়েছে।

এই পদ্ধতির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হন - তাদের মধ্যে সৌদি আরবের নারীরাও রয়েছেন।

নতুন এই আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সৌদি নারীরা তাদের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারবেন এবং বিয়ের পরবর্তী খোরপোশের অধিকার রক্ষা করতে পারবেন বলে জানান নাসরিন আল-গামদি নামে এক সৌদি নারী আইনজীবী। পাশাপাশি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে পুরুষদের ক্ষমতার অপব্যবহারও বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন ওই আইনজীবি।

এ আইন কার্যকরের পর সৌদি আরবের অন্যান্য আইনজীবীরা বলছেন, এর ফলে দেশটিতে নারীদের ক্ষেত্রে 'গোপন তালাক' নামে পরিচিত হঠাৎ করে বিচ্ছেদের প্রবণতা বন্ধ হবে।

প্রসঙ্গত একজন পুরুষ অভিভাবকের (স্বামী, বাবা, ভাই অথবা ছেলে) সম্মতি ছাড়া সৌদি আরবের নারীরা এখনও বিয়ে, পাসপোর্টের জন্য আবেদন, ব্যাংকের হিসাব খোলা, অস্ত্রোপচার ও ব্যবসা করার মতো অনেক কাজ করতে পারেন না।

এভাবে সৌদি নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ বহুদিনের। এই আইনের পর সৌদিতে নারী বৈষম্যতা অনেকটা দূর হবে বলে মন্তব্য করছেন দেশটির নারীবাদীরা।

Bootstrap Image Preview