সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা নামাযে লাখো মানুষের ঢল। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মত বিদায় জানাতে ১২টা বাজার আগেই জড়ো হতে থাকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
আশরাফের নির্বাচনী এলাকাসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই শোলাকিয়া ময়দানে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা ১২টা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শোলাকিয়া ময়দান।
জানাজায় আগত শোকাহত নেতাকর্মী ও জনতা বলছেন, তারা তাদের প্রিয় নেতাকে শেষবারের মত শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন শোলাকিয়া ময়দানে।
এছাড়াও প্রিয় নেতার স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আশরাফের শুভানুধ্যায়ীরা।
আজ রবিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে সৈয়দ আশরাফের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে হেলিকপ্টারযোগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ কিশোরগঞ্জ নিয়ে আসা হয়।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনা হবে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় তাঁর মরদেহ দেশে মাটিতে পৌঁছে।
পরে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তাঁর তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসার পর বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ৩রা জুলাই তাঁকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই তাঁকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে বিজয়ী করা প্রিয় নেতাকে নিজেদের মাঝে ফিরে পেতে উন্মুখ ছিলেন, কিশোরগঞ্জের মানুষ। কিন্তু থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ছয় মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজনীতির অনন্য এই কবি।