Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৈয়দ আশরাফের মরদেহে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৫৩ PM
আপডেট: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সম্পন্ন হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এ জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজায় রাষ্ট্রপতি ছাড়াও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী সৈয়দ আশরাফকে। এরপর ১১টা ৩৯ মিনিটে তার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ১১টা ৪০ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ১১টা ৪১ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আশরাফের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।

সংসদ ভবন প্লাজায় জানাজা শেষে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে। বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাঁহ ময়দানে সম্পন্ন হবে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। তার তৃতীয় জানাজা হবে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁহ মাঠে। সেখান থেকে ফের ঢাকায় এনে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সৈয়দ আশরাফকে।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৩ জানুয়ারি রাতে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফ।

শনিবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ‘মেঘদূত’যোগে ব্যাংকক থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ। তার মরদেহ নিতে মরহুমের স্বজন এবং মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন কাদের।

বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়। সেখানে মরহুমকে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেন দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা-সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। পরে বাসভবন থেকে মরহুমের মরদেহ নিয়ে রাখা হয় সিএমএইচে।

Bootstrap Image Preview