Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপিকে রেখেই সংসদে যাচ্ছে ড. কামালের গণফোরাম!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৮ PM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাত আসনে জয় পায় ঐক্যফ্রন্ট । দুই আসনে জয় পায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরীক গণফোরাম। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মনসুর এবং গণফোরাম নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে মোকাব্বির খান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ পাঁচজন নির্বাচিত হন।

এদিকে নির্বাচিত হলেও শপথ নেননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তারা ভোট কারচুরি ও অনিয়মের প্রতিবাদস্বরূপ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে সরকারের বৈধতা দেয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

তবে এবার বিএনপির এ পাঁচজনকে রেখেই গণফোরামের দুই সদস্য এমপি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, 'এটা তাদের দুইজনের অর্জন। আমরা সংসদে যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করবো।'

নিয়ম অনুযায়ী, ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিতরা শপথ না নিলে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের আসন শূন্য হবে। ওই আসনে ফের উপনির্বাচন হবে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এর পর ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সংসদের অধিবেশন বসবে। তারা ৯০ দিনের মধ্যে যদি কেউ শপথ না নেন বা কোনো প্রকার সাড়া না দেন, তখন সংসদ সচিবালয় থেকেই এ পদটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।

সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথগ্রহণের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর পর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে জয়লাভ করে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭টি আসনে জয়ী হয়। মঙ্গলবার ২৯৮ সংসদ সদস্যের নামে গেজেট জারি করা হয়। বাকি দুটির মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করতে হবে বলে সেখানে ফল স্থগিত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview