Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাজশাহীতে ফারুক চৌধুরীকে মন্ত্রী করার দাবি

গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৫ PM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:১৫ PM

bdmorning Image Preview


৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সদ্য একাদশ জাতীয় ভোট উৎসব শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ জানুয়ারি নির্বাচিত প্রার্থীরা এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণও শেষ হয়েছে। এখন সবার চোখ মন্ত্রী পরিষদ গঠনের দিকে। কারা ঠাঁই পাচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রীসভায়?

এ সময়ের মধ্যে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন হতে বিপুল ভোটে জয়ী ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি রাজশাহী-১ আসনটি ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত। এই আসন হতে যারা নির্বাচিত হন তারা মূলত মন্ত্রীত্ব পেয়েই থাকেন।

১৯৭৩ সালে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান এই আসন হতে নির্বাচিত হয়েই মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই এলাকায় উন্নয়নে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অতুলনীয়। পরবর্তিতে ১৯৯১ সালে বিএনপি হতে নির্বাচিত ব্যারিষ্টার আমিনুল হক নির্বাচিত হলে প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০১ সালে বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করলে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের কাছে পারাজিত হন। তবে তিনি সেই সময়ে পরাজিত বোঝা নিয়ে মাঠ ছাড়েরনি। তিনি রাজনীতির মাঠে থেকে দলকে সুসংগঠিত করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও রাজশাহী অঞ্চলে বাংলা ভাই উত্থানের অন্যতম সহযোগিত হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় ফখরুদ্দীন সরকারের দায়ের করা মামলায় ৩২ বছর সাজা হলে তিনি জনগণের কথা চিন্তা না করে নিজেকে বাঁচাতে বিদেশে পালিয়ে যায়। সেই সময় তার বড় ভাই পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. এনামুল হক বিএনপি হতে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করলে ওমর ফারুক চৌধুরীর নিকট হতে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়।

ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির দায়িত্ব পালন করে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ও এলাকায় রাজনীতির অস্থিশিলতা না করে শান্তির জনপদ গঠন করে তোলেন। সেই সরকারের মেয়াদে শেষের দিকে তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এতে এলাকায় জনসাধারণ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি সবার হৃদয়ে স্থান করে নেন ভালবাসার।

জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী। ফারুক চৌধুরীর বাবাও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে ফলে তিনিও একজন শহিদ পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত লাভ করে। তারই মামাতো ভাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। খায়রুজ্জামান লিটক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অপরদিকে ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুই ভায়ের উপরই রাজশাহীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে সংগঠন।

২০১৪ সালেরর নির্বাচনে ওমর ফারুক চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পুনরায় এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাটসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় কোন্দলে কিছু বিষয় সমালোচিত হলে সব কিছুকে পেছনে ফেলে তিনি আবারও শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে। দলীয় সব কোন্দল নিরসন করে তিনি সকল পর্যায়ের নেতাদের সাথে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এক সময়ের ক্ষমতাধর মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে প্রায় ৯০ হাজার ভোট বেশী পেয়ে আমিনুল হককে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।

বিপুল ভোটে এমপি ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত হবার পর হতেই গোদাগাড়ী-তানোর আসনের জনসাধারণের একটাই দাবি উঠেছে ওমর ফারুক চৌধুরী একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অল্প সময়ের জন্য। তিনি এলাকায়র শান্তি বজায় রেখে নিরলসভাবে উন্নয়নও করেছেন ব্যাপক। তাই এবারের মন্ত্রীসভায় ওমর ফারুক চৌধুরীকে মন্ত্রীত্ব দেবার জন্য শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এইসব দাবি নিয়ে ফেসবুকেও সরব আলোচনা চলছেই প্রতিনিয়ত। ফুলের বরণে সিক্ত ওমর ফারুক চৌধুরীর ছবি দিয়ে মন্ত্রীত্বর দাবি যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন জোরালো হচ্ছে।

গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, রাজশাহী-১ আসনের যোগ্য নেতৃত্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এ ছাড়ও তিনি শহিদ পরিবারের সন্তান তার নেতৃত্বে এলাকা শান্তির জনপদ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। আগামী দিনে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন ও বৃহত্তর আওয়ামী লীগের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মন্ত্রীত্বের বিকল্প নাই। তাই ওমর ফারুক চৌধুরীকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট মন্ত্রী করার জোর দাবি জানান।

Bootstrap Image Preview