ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় শিশু ডায়রিয়া রোগে ৩২ দিনে ২ শতাধিক আক্রান্ত রোগী শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া পরিবর্তন ও অতিরিক্ত শীতের কারণে গত ৩২ দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু ডায়রিয়া রোগে ২ শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চলতি জানুয়ারী মাসের দুইদিনে ঝাউদিয়া গ্রামের জীবন বিশ্বাস (১৫), বিজুরিয়া গ্রামের আসাদুজ্জামান (৮ মাস), বারইপাড়ার তাহিয়া (২), নলখোলার তাজিব (১) জালসুকার রাজুমোল্যা (৬ মাস), মধ্যপাড়ার আমিদ (২), কবির পুরের ছামিয়া (১), বরিয়া গ্রামের হিরা (১) দলিলপুরের রাকিব ( ৮মাস), লক্ষনদিয়ার রাজকুমার (৭০), বারইপাড়ার শিলিনা (৩৫), কবিরপুরের রিনা (৩), উত্তরপাড়ার সুফিয়া (৬), আগুনিয়াপাড়ার রিজাউল (৩৫), মজুমদারপাড়ার রুবাইয়া (৩), সারুটিয়ার হেলেনা (১), শাহবাড়িয়ার ইমান (২) ডাউটিয়ার মামিন (৫) সহ আরও ১৯ জন গত ২দিনে শিশু ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড না থাকায় আক্রান্ত শিশুদের মহিলা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়াও বেড স্বল্পতার কারণে হাসপাতালের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে আক্রান্ত রোগীদের রাখায় অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানান কর্তব্যরত সেবিকারা।
শিশু ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত তাজিব এর মা জানান, বেডের সমস্যা প্রকট। হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ খন্দোকার মোঃ বাবর জানান ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী দুই মাসে আবহাওয়া পরিবর্তন ও অতিরিক্ত শীতের কারণে এবং রোটা ভাইরাস রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। তবে খাবার স্যালাইন, মায়ের বুকের দুধ, নরম খিচুরী, চিড়ার মার খাওয়ালে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে। ডায়রিয়া রোগের প্রকাপ দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে জরুরী পদক্ষেপ না নিলে মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলে এলাকাবাসীরা আশঙ্কা করছে। সেই সাথে তারা সিভির সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।