Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: মূলহোতাসহ আটক ৫

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৪২ AM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৪২ AM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও ৫ নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে নোয়াখালী সদর ও সেনবাগ উপজেলা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ৫ জঙ্কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং বেচু ব্যাগা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় নির্বাচনের দিন রাতে ওই নারীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে জখম করার ঘটনায় রুহুল আমিনকেই নেতৃত্বদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছিলেন তার স্বজনরা। 

যদিও এ ঘটনায় সেই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে কৌশলে বাদ দেওয়া হয় রুহুল আমিনের নাম। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার মুখে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কড়া অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার পর রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রাতে পুলিশের দু’টি দল সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে ও সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারের ৫ নং আসামি বেচুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন যদি অপরাধী হয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা দ্রুত সাংগঠনিক মিটিংয়ে বসে ও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী যদি তার অপরাধ প্রমাণিত হয় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। 

ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা। 

এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। 

এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই বর্বরোচিত কাণ্ডে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রুহুল আমিনকেই আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়ে দেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Bootstrap Image Preview