Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১১ PM
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে তাকে কলঙ্কজনক নির্বাচন বলে মন্তব্য করে তা বাতিল করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভোটের পরের দিন সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান।

সংবাদ সন্মেলনে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন: নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যন করছি। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে,যতো দ্রুত সম্ভব তা দিতে হবে। এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বেগম খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটি সঠিক ছিলো।

মির্জা ফখরুল বলেন: আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনও হয়নি এ দেশে।

তিনি আরো বলেন: নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি আগে থেকেই ছিলো সুপরিকল্পিত। ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে। এ নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভীতি ছাড়া কিছু ছিলো না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন: সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জাল ভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। এর সঙ্গে র‌্যাব পুলিশ সহয়তা করেছে। ভোটের দিন সকালেও কেন্দ্র দখল করেছে। কিছু কেন্দ্রে ১১ টা পর্যন্ত ভালো রেখেছে। কিন্তু যখন দেখলো ভোটারেরা বেরিয়ে আসছে তখনও সেটি দখলে নিয়েছে। এসব কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সহায়তা করেছে। তারা সব সময় বিরোধী দলকে তাড়ানোর কাজে নিয়েজিত ছিলো। অনেক জায়গায় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।

এজেন্টদের বিষয়ে তিনি বলেন: পরিকল্পিতভাবে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এজেন্টদের যে তালিকার কাগজ ছিলো সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। সিইসি এজেন্টদের বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক নয়। আমাদের এজেন্টদের না আসতে দিলে আমরা কি করবো?

তিনি বলেন: এ নির্বাচনে কোনো বিদেশি পযবেক্ষক ছিলো না। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের আসতে দেয়নি। আর ইইউ তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যারা এসেছে তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকার নিজের টাকায় তাদের নিয়ে এসেছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, জুলুম নির্যাতন সত্ত্বেও।

ইসির বিষয়ে তিনি বলেন, এই সিইসি সম্পূর্ন পক্ষপাত দুষ্ট। ইনি নিরপেক্ষ নয় তিনি সরকারের দলীয় নির্বাচন কমিশনার।

শপথ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো এ নির্বাচনের ফলাফল ই প্রত্যাখ্যান করছি।

এসময় মির্জা ফখরুল দাবি করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পযন্ত ২১ হাজার নেতাকর্মী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

দাবি আদায়ে আইনী ও আন্দোলনের ; উভয় দিকেই চেষ্টা চালিয়ে যাবে বিএনপি। দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ টি আসনের মধ্যে মোট ২৫৯টি আসন নিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে মহাজোটের নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview