সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের বিপর্যয়ের পর এখন আসলে কি করণীয়? সেসব ঠিক করতেই বৈঠকে বসছে বিএনপি, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ভোটের পরের দিন সোমবার বিকেল চারটায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। সন্ধ্যা ছয়টায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের বৈঠক হবে। একই সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে এই জোটের বৈঠক হবে।
মূলত, এই বৈঠকে বিএনপি ও তাদের জোটের পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি বা করণীয় কী হবে, তা ঠিক হতে পারে। একই সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঘোষণা করা হতে পারে। অবশ্য ইতিমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. কামাল হোসেন যৌথ ব্রিফিংয়ে গতকালের নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান কী হবে, সেটা দেখবেন। এই নেতা বলেন, তাঁরা ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু তাঁদের দল ও জোটের সাতজন নেতা ভোটে জয়লাভ করেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। এ নিয়েও আলোচনা হবে।
স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য মনে করেন, নির্বাচিত প্রার্থীরা সম্ভবত শপথ নেবেন না—এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নেতারা ও জ্যেষ্ঠ নেতারা থাকবেন।
বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানালেন, তাঁরা কিছুই বুঝতে পারছেন না। ক্ষমতাসীনেরা ভোটের দিন মারমুখো থাকবে, চড়াও হবে—এটা জানা ছিল। কিন্তু ফলাফল এতটাই অপ্রত্যাশিত-অবিশ্বাস্য যে তাদের করণীয় কী হবে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আদৌ আন্দোলন করার মতো পরিস্থিতি আছে কি না, সে বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।