Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাজোটকে এমডব্লিউইআরের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১৫ AM
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৫১ AM

bdmorning Image Preview


আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ৩০ ডিসেম্বর-২০১৮ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬৬ আসনে বিজয়ী হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট ৬টি আসনে বিজয়ী হয়েছে।  নির্বাচনে বিজয়ী ও বিজিত জোট দুটিকে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর)ও পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

৩১ ডিসেম্বর-২০১৮, মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এনায়েতুল্লাহ কৌশিক কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অচিরেই মহাজোট সরকার গঠন করবে। আমরা আশা করি আগামীদিনে বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ার জন্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে কাজ করবে। দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে।

নির্বাচিত সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোষিত ইশতেহার ও সরকারের কার্যক্রম অগ্রগতি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যে এমডব্লিউইআর প্রস্তাবিত মনিটরিং সেল গঠন করবে।

তারা বলেন, যদিও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় সংসদ হচ্ছে সবকিছুর জবাবদিহিতার মূল জায়গা তবে এই ‘মনিটরিং সেল’ হবে ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সরকারের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ, পরিকল্পনা গ্রহণের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত সুন্দর স্থান। সরকারি দলের ইশতেহার ও বিরোধী দলের ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য বিষয়, নাগরিক সমাজের দাবি-দাওয়া এবং পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে মনিটরিং সেল পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করবে ইশতেহার অনুযায়ী কতটুকু কাজ করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার ১০০ দিনের একটি প্রকল্প নিবে সেখানে প্রতিটি মন্ত্রণালয় একটি ৫ বছর, ১০ বছর, ২০ বছর, ৫০ বছর বা ১০০ বছর এমনকি ১০০০ বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। সরকারপ্রধান সরকারের প্রতি বর্ষপূর্তিতে জনগণের কাছে ভাষণে ইশতেহারের কতটুকু অংশ বাস্তবায়ন করেছে তা জানাবে। এতে করে প্রশাসন ও জনগণ উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর ও জবাবদিহিতা তৈরি হবে।
‘মনিটরিং সেল’ গঠন প্রক্রিয়া-
সভাপতি: প্রধানমন্ত্রী ও সহ-সভাপতি বিরোধীদলীয় নেতা।
সদস্য সচিব: সরকার দলীয় ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক/সভাপতি ও যগ্ম-সদস্য সচিব বিরোধীদলের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক/সভাপতি।
সদস্যবর্গ: ক. সরকার ও বিরোধীদলয় দলীয় সংসদ সদস্য ৩ জন করে ৬ জন।
খ. জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে প্রতিনিধি
গ.শিক্ষার্থী ও তরুণসমাজের প্রতিনিধি ৪ জন।
ঘ. বিশেষজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক (শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ) ১০ জন।
এ ছাড়া পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এতে শিক্ষার্থী, তরুণসমাজ, শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি একসাথে কাজ করতে পারে। নির্বাচিত সরকার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।

Bootstrap Image Preview