একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থী ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার বেসরকারিভাবে ২,৭১,২১০টি পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আর তার নিকটতম: এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৭,৮৮৩টি।
বিজয় নিশ্চিত জেনে ফলাফল ঘোষণার আগেই লোহাগড়ায় আজ রবিবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী, মাশরাফির সমর্থক ও ভক্তরা। তাদের চাওয়াটাই ছিল, যে মাশরাফি বারবার খেলার মাঠে জিতেছে, সেই মাশরাফি ভোটের মাঠেও জিতবে।
সূত্র জানায়, প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল যেন খেলার মাঠের মাশরাফির ক্রিকেট বলের গতির মতই ভোটের মাঠের মাশরাফির জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসার গতি। সেই ভালোবাসাই ভোটের গতি বাড়িয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে প্রিয় মাশরাফিকে। এমনটাই চাওয়া ছিল ভক্তদের।
নির্বাচনী গণসংযোগ বা জনসভা চলাকালেও মাশরাফির হাতে ক্রিকেটের বল দেখা গেছে। সবাই হতবাক হয়েছেন হয়তো! কিন্তু না, মাশরাফি বলকে ভালোবাসে। এটাই সেই জাদুকরী বল, যেটি গোলার মতো ছুটে যায় প্রতিপক্ষের উইকেটের দিকে। যেটির দ্বারা তিনি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। দেশকে ভালোবাসে, এলাকার মানুষকে ভালবাসে। সব মিলিয়ে যেন অন্য রকম কিছু মনে হয়েছে মাশরাফিকে ঘিরে।
নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাজমুল করিম বাবু বলেন, বল পাগল ছেলেটি মাশরাফি আজ আমাদের এলাকার উন্নয়নের অভিভাবক হবেন, সেটা ভাবতেই শরীরে যেন শিহরণজাগে।
রবিবার বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে ভোট গণণারপালা চলছিল। আর দলের নোত-কর্মী, মাশরাফির সমর্থক,ভক্তরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিজয় মিছিলের। ঠিক রাত ৭টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে লোহাগড়া শহরে মাশরাফির পক্ষে বিশাল মিছিল বের হয়। এর পর থেকেই শহরে ঢাঁকঢোল-বাজনা বাজিয়ে নৌকা ও মাশরাফির পক্ষে পালাক্রমে মিছিল বের হয়। মিছিলের শহরে পরিণত হয় গোটা শহর।
এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার মূলপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ধানের শীষের প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ,জেড,এম ফরিদুজ্জামান। উপজেলা প্রশাসন জানায়, ভোটগ্রহণকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনাঘটার খবর শোনা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৭টা ৪৬)বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট গণণা সহ ফলাফল ঘোষণা চলছিল।
উল্লেখ্য প্রায় প্রতিটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বররন করলেও এই আসনের ধানের শীষ প্রার্থী কোন ধরনের অভিযোগ করেননি এখন পর্যন্ত।