Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব সেটা প্রমান হয়েছে: এইচ টি ইমাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২০ PM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুচারু এবং অবাধ, সেই সঙ্গে পরিচ্ছন্ন নির্বাচন যে সম্ভব সেটি প্রমাণ করে।

রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এই মন্তব্য করেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে এবং দলীয় সূত্র থেকে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ মহাজোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের, সমর্থকদের, ভোটারদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত স্ব স্ব কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহণ করে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

এইচ টি ইমাম দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে যেসব নেতাকর্মী আছেন তাদেরকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এখন আনন্দ মিছিল করার সময় নয়, দেশ শাসনের সময়। কাজেই কোন জায়গায় কোন ভাবে কেউ কোনো আনন্দ মিছিল বের করবেন না।

প্রসঙ্গত, আর সেই সঙ্গে আবার বলছি যে নির্বাচনের সমস্ত ফলাফল না আসা পর্যন্ত, আওয়ামী লীগের সদস্যগণ যারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করছেন, তারা সেখানে অবস্থান করবেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রিজাইডিং অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারের ফলাফল লিখিতভাবে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে না দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হয়েছে বলে জানিয়েছে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ওআইসি থেকে একটি শক্তিশালী দল এসেছেন এখানে পর্যবেক্ষণের জন্য, কমনওয়েলথের, ভারতীয়রা আছেন এবং তারা অত্যন্ত খুব নামীদামী লোকজন, প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং অবজারভার। তারা সবাই আমাদের বাংলাদেশের আজকের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো তার প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন অত্যন্ত সুন্দর সুষ্ঠু এবং সুচারুভাবে এই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে এবং সে জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন এ নির্বাচন জাতিকে ভবিষ্যতে জাতিকে ভবিষ্যতে সমস্যায় ফেলবে এর জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, মির্জা ফকরুল সাহেব এবং তার দলের সবাই এবং তার দলের সাহেব এবং তার দলের সবাই দলের সবাই বলেছেন তাদের অংশগ্রহণটি একটি সাময়িক কৌশলমাত্র। কৌশলগত কারণে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

যে কারণে আপনারা দেখেছেন ঢাকা শহরে কোথাও বিএনপি পোস্টার বিএনপি পোস্টার কোথাও বিএনপি পোস্টার পোস্টার নেই। এত বড় একটি দল যাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা আছে তাদের কোনো পোস্টার নেই, অনেকে অবাক হয়েছেন। এই যে কাজগুলো এরা আগে থেকে থেকে পথ আগে থেকে পথ তৈরি করছিলেন। সৌভাগ্যবশত আমরা তাদের অনেক ফোনআলাপ এবং বিভিন্ন আলাপচারিতা সহ অনেক কিছু আগেই ধরে ফেলেছি।

যেমন মওদুদ আহমেদ সাহেব আগে থেকে সব ছাপিয়ে রেখেছিলেন, তার ফোনের কথাবার্তা, অন্যদের কথাবার্তা। আরেকটি বিষয় হলো, এবার বিএনপি যে সমস্ত বড় বড় ভালো নেতৃবৃন্দ ছিলেন তারা অনেকেই মনোনয়ন পাননি এবং অনেকেই শুধু মর্মাহত হননি দুঃখ প্রকাশ করেছেন একেবারে প্রকাশ্যে।

যেমন সিলেটের ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোরশেদ খানের মতো মতো খানের মতো ব্যক্তি, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর সাহেবের মত ব্যক্তি গণমাধ্যমে মত ব্যক্তি গণমাধ্যমে ব্যক্তি গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছিলেন, তাদের কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল। মনোনয়নের জন্য কোন নির্বাচনে এ ধরনের নিলাম হয় এ তো তো নিলাম হয় এ তো তো আমরা জানতাম না।

সে নিলাম এদেশে হয়নি, হয়েছে লন্ডন থেকে। ওখান থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে আপনি এত টাকা দেবেন। যিনি বলেছেন আমি সবচেয়ে বেশি দেবো তাকেই মনোনয়ন দেয়া মনোনয়ন দেয়া তাকেই মনোনয়ন দেয়া মনোনয়ন দেয়া হয়েছে । যার ফলে তাদের অনেক জায়গায় কোন এজেন্ট নেই কোন এজেন্ট নেই, পোস্টার ও নেই। তারা নির্বাচনকে অন্যভাবে নিয়েছেন, নির্বাচনকে তারা গুরুত্বই দেননি গুরুত্বই দেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, আওয়ামীলীগের উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, অভিনেত্রী ও আওয়ামীলীগ নেত্রী শমী কায়সার, অভিনেতা ফেরদৌস, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, নাট্য অভিনেতা মাজনুন মিজান প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview