পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনী সহিংসতা নতুন কিছু না। ২০০১ সালে নির্বাচনী সহিংসতায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছিল।
আজ বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১৪ জন মানুষ হতাহতের সংবাদ আমরা শুনতে পাচ্ছি তবে এ ব্যাপারে আমাদের অফিসিয়াল কোন তথ্য আসেনি। এটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য।
রবিবার রাজধানী ঢাকার প্যান পেসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনফরমেশন বাংলাদেশ (পিআইডি) পরিচালিত নির্বাচন উপলক্ষে মিডিয়া সেন্টার পরিদর্শনের এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে যাতে করে কোন ধরনের সহিংসতা না হয় সে জন্য আমরা সার্বিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তারপরও কোন কোন জায়গায় সহিংসতার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে বিষটি দু:খজনক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে পুলিশ প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। সেনাবাহিনী ৪১৪ প্লাটুন, নৌবাহিনী ৪৮ প্লাটুন, কোস্টগার্ড ৪২ প্লাটুন, বিজিবি ৯৮৩ প্লাটুন, র্যাব প্রায় ৬০০ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন)। এছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যখন অসম পর্যায়ে পৌঁছে তখন এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে। যাতে সহিংসতা না হয়, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনিরুল বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা হয়েই থাকে।
এটি যাতে এবার কম হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল। তিনি বলেন, ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনেও সহিংসতা হয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে সহিংসতা এবার কম হয়।