Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনেক প্রার্থীর ভোট বর্জন, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্টের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫৮ PM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫৮ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার দুপুর ১২টার আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের কয়েকজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের।

জানা গেছে, খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি কেন্দ্রীয় জামায়াতের নায়েবে আমির। একই আসনে ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায়।

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া পাবনা-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মওলানা ইকবাল হুসাইন ও যশোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল হকের ভোট বর্জনের খবর পাওয়া গেছে।  নীলফামারী-৩ আসনে ভোট বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা এবং সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদ ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচন বর্জনকারী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- ময়মনসিংহ-৯ আসনের খুররম খান চৌধুরী, নোয়াখালী-৪ আসনের মো. শাহজাহান, জামালপুর-২ আসনের এ,ই সুলতান মাহমুদ বাবুল, বাগেরহাট-৩ আসনের মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ, শেরপুর-২ আসনের মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী, শেরপুর-৩ আসনের মো. মাহমুদুল হক রুবেল, জয়পুরহাট-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ,স,ম মোক্তাদির তিতাস। 

ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন এ সব আসনের প্রার্থীরা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই তারা ভোটবর্জন করতে পারেন। এদিকে, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছেন ভোটবর্জনের।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমি আমার এলাকায় ভোটবর্জন করেছি। গতকাল (শনিবার) ১০০টির বেশি কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট কেটেছে। ভোটের দিন সকাল থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। আমি নিজেও ভোট দেইনি।’

যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, ভোটে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভোটবর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। যারা বর্জন করছেন, তারা হয়তো নিজ-নিজ এলাকার অবস্থার প্রেক্ষিতে বর্জন করছেন।’

Bootstrap Image Preview