একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোট প্রয়োগ করতে পারছেন না তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না বিএনপির এ নেত্রী।
আজ রবিবার ভোটের দিন ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারেই থাকবেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন,‘নিয়মানুযায়ী কারাবন্দি থাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন ভোট দিতে পারবেন না।’
কারাবন্দিদের ভোট না দিতে পারার কারণ হিসেবে হেলালুদ্দীন বলেন,‘জেলখানায় সাধারণত তিনশ আসনে বন্দিরা থাকেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তিনশ আসনে ব্যালট এবং ব্যালট বাক্স পাঠানো সম্ভব নয়। আবার মাঝেমধ্যে কারাবন্দিদের বিভিন্ন জেলখানায় বদলি করা হয়। তা ছাড়া কারাবন্দিরা স্বাভাবিক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের ভোট গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কারাগারে রয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁদের কেউই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
এদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের ভোটার। বর্তমানে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি ভবনে বন্দি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন,‘কারাবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো নাগরিক ভোট প্রদানে বাধা নেই। তবে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে একজন নাগরিক কী প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো উল্লেখ নেই। আসামিদের জন্য জেলখানায় ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করবেন কি না, অথবা প্যারোলে মুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করবেন কি না, এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট কোনো কিছুই নেই। এ কারণে কারাগারে থাকা আসামিরা ভোট দিতে পারছেন না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কারাবন্দির সংখ্যা ৮০ হাজারের কাছাকাছি। এসব বন্দির বেশিরভাগই ভোটার। এবারের নির্বাচনে বিএনপির ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কারাগারে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।