Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুনামগঞ্জ-৫: লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৩ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে উত্তেজনা ততই বেড়ে চলেছে। কে হবেন সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনের কর্ণধার- এ নিয়ে চলছে ভোটারদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে দুই নবীন-প্রবীণ প্রার্থীর লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলায় ২২টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা নিয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসন গঠিত। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৪। ছাতকে ১০০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এখানে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার রয়েছে। দোয়ারাবাজারে ৫৯টি ভোটকেন্দ্রে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২২৯ জন ভোটার রয়েছে।

নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করায় জটিল সমীকরণে পড়েছেন ভোটাররা। আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক (নৌকা) ও বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান (ধানের শীষ) নিয়ে মূলত হিসাব করছে এ আসনের ভোটাররা। তবে উভয় প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। মুহিবুর রহমান মানিক ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে ২০০৮ থেকে ২০১৪ একাধারে সংসদ সদস্য পদে আসীন ছিলেন।

অপরদিকে মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান ২০০৯ সালে ছাতক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১০ই নভেম্বরের পরই দুই প্রার্থী প্রচারণা শুরু করেছেন।

এ ছাড়াও এ আসনে আরো ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা হিমেল (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা হুসাইন আল-হারুন (হাতপাখা), ন্যাপের আবদুল ওদুদ (কুড়েঘর), বিএনএফের আশরাফ হোসেন (টেলিভিশন), গণফোরাম প্রার্থী আইয়ূব করম আলী (উদীয়মান সূর্য)।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের প্রতিটি গ্রামে। প্রতিদিন করছেন উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত শামীম আহমদ চৌধুরী ও ফরিদ আহমদ তারেক সম্প্রতি নৌকার পক্ষে মুহিবুর রহমান মানিককে সমর্থ দেয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের অন্তর্দ্বন্দ্বের নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন দীর্ঘদিনের বিভাজন কাটিয়ে সর্বশেষ বঞ্চিতরা একমঞ্চে আসায় নৌকা প্রতীক বিজয় হবে।

অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান ও দলীয় নেতাকর্মীরা এ আসন পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। এ জন্য তারা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত গ্রাম-গ্রামান্তরে, পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনের দুই উপজেলায় ইতিমধ্যে কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও প্রার্থী, কর্মী, সমর্থকরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ। গত ১০ বছরে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। এবার সবাই ভোট দিতে আগ্রহী।

এ আসনে খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন সম্প্রতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এরপর থেকে তিনি ও তার দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা দুই উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছেন। তবে এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা হবে বড় ফ্যাক্টর। তাদের ভোটের ফলাফলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।

Bootstrap Image Preview