আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ছুটে যাচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকায়। কিন্তু এসব যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা। শুধু তা নয়, নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রীও।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ফোন ও ম্যাসেঞ্জারে তথ্য ও ভিডিও চিত্র প্রকাশ করে এসব অভিযোগ করছেন।
যাত্রীরা বলছেন, দোহার, মাওয়া, মাওয়া লাইনের ইলিশসহ সব বাস, ভাগ্যকুল পরিবহন, দোহার লাইনের বাস নগর পরিবহন। এছাড়া ৪০ জন যাত্রীর স্থানে নেয়া হচ্ছে ৮০ জন।
শুধু তা নয় মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বাস মালিকরা। টিকিট দিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। টিকেটে একটি দাম লেখা থাকলেও কলম দিয়ে লেখা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
যাত্রীরা বলছেন, সব অনিয়মই যেন গণপরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ম। তাদের হাতে রীতিমতো জিম্মি মানুষ। আর নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করলেই এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো নির্দেশনা নেই। জনগণের স্বার্থ দেখভালের দায়িত্ব সরকারের। সরকার আন্তরিক হলেই গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নামে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা থামানো সম্ভব। তবুও আমি বিষয়টি দেখছি। যারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।