Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকা ১৫: এক লাখ বস্তিবাসীর হাতে প্রার্থীর ‘ভাগ্য নির্ধারণ’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০২ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংসদীয় ১৮৮নং আসনটি মূলত ঢাকা-১৫ আসন নামে পরিচিত। আর এই আসনের ভোটার ফ্যাক্ট হিসাবে দেখা হচ্ছে, কাফরুল, মিরপুর ১০, ২ নম্বর, সেনপাড়া, পর্বতা, মনিপুরী পাড়া, ৬০ ফিট, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বস্তির ভোটগুলো।

প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ঘরে নিয়ে মিনপুরের মনিপুরী পারার খলিল সাহেবের বস্তি। আর এই বস্তিতে মোট বাসিন্দা প্রায় ৬ হাজার। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩ শত।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ভোটের মাঠের সর্বশেষ খবর জানতে বিকালে কথা হয় বস্তিবাসীদের সাথে। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার বেশ জনপ্রিয়।

বস্তির খেটে খাওয়া মানুষের সাথে কথা হলে, কামাল মজুমদার ক্ষমতায় এসেই তাদের জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। তবে পানির সমস্যা এখানে চরম আকার ধারণ করেছে। পানির অভাবে দু তিন দিন গোসল করা হয়নি বলেও জানালেন কেউ কেউ।

খলিল সাহেবের এ বস্তির মত কাফরুল ও মিরপুরের একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৫ আসনে ছোট বড় বস্তির সংখ্যা প্রায় ৫০টি। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। যা মোট ভোটারের (৩ লাখ ৪০ হাজার ৫২৮) তিন ভাগের একভাগ। এসব ভোটার ভোটের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে জেনে প্রায় প্রতিদিনই বস্তি এলাকায় ধানের শীষ ছাড়া গণসংযোগে আসেন নৌকা, লাঙ্গল, হাতপাখাসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।

আসনটিতে কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে লড়ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। তবে কাগজে কলমে তিনি প্রার্থী হলেও কার্যত তাকে নির্বাচনী প্রচারণায় কেউ দেখতে পায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কাফরুল, মিরপুর ১০, ২ নম্বর, সেনপাড়া, পর্বতা, মনিপুরী পাড়া, ৬০ ফিট, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়ার কোথাও তার নির্বাচনী পোস্টার চোখে পড়েনি। অনেক খুঁজেও তার নির্বাচনী কার্যালয় আছে কি নেই কেউ বলতে পারেনি। এজন্য নিম্ন আয়ের অনেক ভোটার ধানের শীষের প্রার্থীর নামও বলতে পারেননি।

ঢাকা-১৫ আসনে প্রার্থী সংখ্যা ৭ জন। প্রধান দুই মার্কা নৌকা এবং ধানের শীষের বাইরে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে মাঠে আছেন জাতীয় পার্টির শামসুল হক, হাতপাখা মার্কা নিয়ে আছেন হেদায়েতুল্লাহ কাশেমী, বামজোটের ডা. আহমেদ সাজেদুল হকের মার্কা কাস্তে, জাকের পার্টির মান্নান মিয়া এবং বাঘ মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে লড়ছেন শামসুল আলম চৌধুরী।

এলাকাঘুরে দেখা গেছে রাস্তার দুপাশ, মোড়, অলিগলি সব জায়গায় ছেয়ে আছে ধানের শীষ ছাড়া সব প্রার্থীর পোস্টার। নির্বাচনী বিধিমালায় না থাকলেও মনিপুরী পাড়ার অনেক বাড়ির দেয়ালে নৌকা, লাঙ্গল এবং হাতপাখার রঙ্গীন পোস্টার দেখা গেছে।

ধানের শীষ কেন প্রচারণায় নেই? এমন প্রশ্নে অনেকে বলেছেন নেতাকর্মী থাকলে তারা নিশ্চয় নামত। ভয়ে তারা আসে না, নির্বাচন করব ক্যামনে!

এদিকে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকায় ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানা শ্রমিক লীগের এক নেতা।

গতকাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিন হওয়ায় সারাদিন কাফরুল ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ চালান কামাল মজুমদার। প্রকাশ্যে প্রচারণায় না থাকলেও গোপনে ডা. শফিকুর রহমান বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইছেন বলে জানা গেছে।

Bootstrap Image Preview