'গণমাধ্যমকর্মীরা কারও প্রতিপক্ষ নয়, তাদের প্রতিপক্ষ করলে পরিণাম ভালো হবে না' বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ক্র্যাব নেতারা।
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসেসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচিতে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ারের পরিচালনায় নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শী, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার নেসারুল হক খোকন ও যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ তুহিন।
তারা বলেন, সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) যা ঘটেছে, যে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই-নিরাপত্তা চাই।
বক্তারা প্রশ্ন করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই হামলাকারীদের শনাক্ত, গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রশাসন কারও প্রতিপক্ষ নই আমরা। তারপরও হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমাদেরকেই। কিন্তু কেন?
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি এসএম আবুল হোসেন, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান ও মাহবুব আলম লাবলু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন, সিনিয়র সদস্য আজাদ হোসেন সুমন ও ক্র্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম।
এছাড়া ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, ডিআরইউ'র সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, সিনিয়র সদস্য উমর ফারুক আল হাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার নবাবগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ক্র্যাব সহসভাপতি দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ক্র্যাব বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নেসারুল হক খোকন, সিনিয়র সদস্য মুজিব মাসুদ, আব্দুল্লাহ তুহিন, তানভীর হাসান, ইমতিয়াজ আল মোমিন ও সাজ্জাদ পারভেজ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য উমর ফারুক আল হাদীর সুনামগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও পুরান ঢাকার বংশালে আরেক সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ মোমিন হোসেনের বাসায় পুলিশি তল্লাশির নিন্দা জানানো হয়।