ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রতিদিনের ন্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের মাঝে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
লালমোহন ও তজুমদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বাড়িতে বাড়িতে নির্বাচনি উঠান বৈঠক ও পথসভায় উপস্থিত হয়ে জনগণের মাঝে বর্তমান সরকারের আমলে সংগঠিত নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চান শাওন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) ধলীগৌরনগর চরকালাচাঁদ সাজী চৌমুহনী এলাকায় অনুষ্ঠিত পথসভায় শাওন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত দশ বছরে যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছে অতীতের ২৮ বছরে কোন সরকার তা করতে পারেনি। বিএনপি দলীয় প্রার্থী মেজর হাফিজ দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য থেকে এ অঞ্চলকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা শান্তির নীড় লালমোহন তজুমদ্দিনকে অশান্তির নীড়ে পরিণত করার নোংরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। ৩০ ডিসেম্বর ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নৌকায় ভোট দিয়ে জনগণ তার নোংরামির জবাব দিবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় উপহার দিন। নৌকার বিজয় হলে জনগণের বিজয় হবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এ দিকে একইদিন রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ গত ১৫ তারিখে লালমোহনে এসে ভোটের উৎসবমুখর পরিবেশকে বিনষ্ট করার নোংড়া ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে লালমোহন তজুমদ্দিনকে সন্ত্রাসের জনপদে রূপান্তরিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সময় এলে মেজর হাফিজ তার পালিত ক্যাডার বাহিনী দ্বারা তাণ্ডব চালিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনি মাঠ দখল নেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, মেজর হাফিজ জনরোষে পরার ভয়ে নিজেকে অবরুদ্ধ রাখার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদি অবাধ এবং সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাহলে মেজর হাফিজ তার জামানত হারাবে।