Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিজের নিরাপত্তা চান ধানের শীষ প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২১ PM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২১ PM

bdmorning Image Preview


সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব নিজের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের দলীয়করণের উর্ধে থেকে পুনরায় তাদের নিয়োগের দাবিতে রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের কাছে এ ব্যাপারে আলাদা দুটি লিখিত আবেদন করেছেন।

লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, 'আমি গত চারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু বর্তমানের মতো নির্বাচনের পরিবেশ আমি কখনও দেখি নাই। আমার প্রাচার মাইক ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, ধানের শীষ প্রতিকের কোন পোষ্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছেনা। যা আমি বার বার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাই নাই।'

'আমি গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় আমার কলারোয়ার নিজ বাসভবনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মতবিনিময় শেষে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লিফলেট বিতরনের উদ্দেশ্যে কলারোয়া বাজার প্রদক্ষিণ করার সময় থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে হাইস্কুল মার্কেটে পৌঁছালে পুলিশ প্রশাসনের সামনে সামনেই ২০-৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী পিছন দিক থেকে আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে। হামলার হাত থেকে কর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে আমি নিজেও আহত হই এবং আমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমানসহ ১০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।'

'এছাড়া ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাবেক এমপি অতিয়ার রহমানের ছেলে আখলাকুর রহমান শেলীকে বাসষ্ট্যান্ডে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সেসহ তকদীর আহমেদ রুবেল বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় ২০-৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠি, রড, হকিষ্টিক নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিলসহ মহড়া দিচ্ছে। যার জন্য সন্ধ্যার পর গোটা কলারোয়া বাজার ভয়ে আতঙ্কে জনমানব শুন্য হয়ে পড়ছে। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আমার বাসভবনের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাবর্বক্ষনিক মহড়া দিচ্ছে, যাতে আমার বাড়িতে কোন দলীয় নেতা-কর্মী আসতে না পারে। যে কারনে আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব অভাব বোধ করছি।'

এদিকে অপর একটি আবদনে তিনি জানান, তার আসনে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের সম্পূর্ণভাবে ভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দলীয়করনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নিরপেক্ষ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

এমতাবস্থায় তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের পুনরায় নিয়োগের দাবীসহ তার নিরাপত্তার স্বার্থে যাতে পুলিশসহ নিরাপত্তা নিয়ে সার্বক্ষনিক নির্বাচনী মাঠে বিচরন করতে পারেন সে জন্য রির্টানিং অফিসারের কাছে দুটি পৃথক লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview