রাজধানীতে হাইকোর্টের মাজার মসজিদের পেছনের দিকের দরজা-জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে থাকা ১২টি সিন্দুকের টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল মোতালিব (৪০) ও আব্দুর রাজ্জাককে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, শনিবার নিরাপত্তারক্ষীরা ওজু করতে গেলে দেখতে পান মাজারের পেছনের জানালার গ্রিল ও তালা কাটা। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে কমরত গোয়েন্দা অফিসার নাজমুল হুসাইন জানান, সিসিটিভির ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী কিছুলোক মসজিদের ভেতরে থাকা সিন্দুক ভেঙে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ১১টি সিন্দুক থেকে আনুমানিক ১২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা।
নাজমুল হুসাইন আরও জানান, ১১টি সিন্দুক বাদেও পুরাতন একটি সিন্দুক থেকে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার এবং আরও বেশি টাকা (১২ লাখেরও বেশি) নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে ঠিক কত টাকা নেয়া হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।
নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল মোতালেব জানান, তিনি ১৬ বছর ধরে মাজারের সিন্দুকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি ফেনী জেলায়। তার জীবনে এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি।
নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল রাজ্জাকও গত ১০ বছর হাইকোর্ট মাজারের সিন্দুকের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।
তিনি জানান, দুই-তিন মাস পর পর মাজারের ওই সিন্দুকগুলো খোলা হয়। ভল্টগুলো খোলার সময় মাজার কমিটির সভাপতি ও হাইকোর্টের একজন সাবেক বিচারপতি উপস্থিত থাকেন। সিন্দুকগুলোতে কখনো তিন চার লাখ টাকা পাওয়া যায়।
সেই অনুযায়ী ১২টি ভল্টে প্রায় ৩০ লাখ টাকা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আব্দুল রাজ্জাক।
প্রসঙ্গত, ওই সিন্দুকটি বছরে একবার খোলা হয় এবং এতে টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার রাখা হয়। অন্যান্য সিন্দুকগুলোতে শুধু টাকা রাখা হয় এবং ১৫-২০ দিন পরপর খোলা হয়।