প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী এএসএম কিবরিয়ার ছেলে তার বাবার হত্যাকারী ধানের শীষের সাথে হাত মিলিয়েছে। একজন মানুষ কীভাবে বাবার হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলায় তা বুঝি না।
বিকেলে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা করেছে বিএনপি। সেই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন শাহ কিবরিয়ার ছেলে। এটি অত্যন্ত লজ্জার ও পরিতাপের বিষয়।
হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। কিবরিয়া শেখ হাসিনার সরকারের প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) ৫ বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে কিববিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপিকেই দায়ী করে আসছে।
আজকের জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, একটি কথা না বললেই নয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, হবিগঞ্জ-১-এ ধানের শীষ নিয়ে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তাঁর পিতার (শাহ এ এম এস কিবরিয়া) হত্যাকারী ওই ধানের শীষ। বিএনপি শাহ কিবরিয়াকে হত্যা করেছে। সেই শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে আজকে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু থাকে না।’ এ ঘটনাকে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। পরে তিনি নিজ দল ও মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মানুষের বন্ধু, বিপদের বন্ধু। সেই হযরত নুহ আ. এর আমলে যখন বন্যা হয়েছিল তখন মানুষ নৌকাতে করেই রক্ষা পেয়েছিল আল্লাহর রহমতে। আওয়ামী লীগের নৌকা সেই নৌকা। কারণ এই নৌকাতে ভোট দিয়ে জনগণ বাংলাদেশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নৌকায় ভোট দিয়ে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করা সহজ হয়েছে। ২০২১ সালে আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। কোন ঘর অন্ধকার থাকবে না।
তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিল। বিশ্বের মানুষকে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ, জলোচ্ছাসের দেশ। কিন্তু এখন বাংলাদেশ মানে উন্নয়নের দেশ। উন্নতির দেশ। সমৃদ্ধির দেশ। সম্মানের দেশ।
তিনি বলেন, তারেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমরা নির্বাচিত হলে তাকে লন্ডন থেকে ধরে এনে দেশের মাটিতে বাচার করবো ইনশাল্লাহ। তারেক রহমান লন্ডনে বসে নাটাই নাড়াই। টাকা দিয়ে নমিনেশনপত্র বিক্রি করেছে। যে যত বেশি টাকা দিয়েছে একজনকে বাদ দিয়ে তাকে দিয়েছে। ৪/৫ কোটি টাকায় নমিনেশন পেপার বিক্রি করেছে।
বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকার খেলা খেলছে। যে যত বেশি টাকা দিয়েছে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।