পুলিশের পোশাক পরে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে তাকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি আরও জানান, প্রত্যাহার করে তাকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে সাতক্ষীরা-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে পুলিশের পোশাক পরে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান ওসি মারুফ আহম্মেদ। তার বক্তব্যের ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষোদগার করেন তিনি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে একজন ওসির এ রকম আচরণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ ও নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে।’ চিঠিতে হাবিব বলেন, ‘সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এতদিন ধরে প্রচারণায় বাধা ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।’ এসব ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় হাবিব নিজেও এলাকা ছেড়েছেন বলে কমিশনকে অবহিত করেন তিনি।
এবিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কোন দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না।