ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে এক যুবক আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম তারেক (২৬)। তিনি রাজশাহীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আসলামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তিনি একটি হাড়ি-পাতিলের দোকানের কাজ করেন।
ভুক্তভোগী বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী তারেক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবাস বাংলাদেশ মাঠের উত্তর পাশে প্রাকৃতিক কাজ সারতে আসেন তারেক। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজসহ দুজন তার পথরোধ করে সঙ্গে থাকা টাকা ও ফোন দিয়ে দিতে বলে। তারেক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
এক পর্যায়ে ইমতিয়াজ পেছন থেকে তারেকের পিঠের নিচের অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টহলরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন ইমতিয়াজ বলেন, মাঠের কোনে তারেক দু'জনের কাছ থেকে ছিনতাই করছিলো। বিষয়টি টের পেয়ে আমি একাই ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় তারেক আমার গলায় ছুরি ধরে। একপর্যায়ে তারেক নিজের ছুরিকাঘাতেই আহত হয়।
তিনি আরও জানায়, তারেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফাঁড়ির পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তবে ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, তারেককে কেউ ছুরি মেরেছে। আর সে ছিনতাই করতে এসেছে এমন কোন স্বীকারোক্তিও সে দেয়নি। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর তার কাছ থেকে আসল ঘটনা জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছিনতাইকালে ইমতিয়াজ তারেককে ধরেছিলো। এ সময় হয়তো তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বা মারধরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি জানি না।