শীত আসতে না আসতে অনেকটাই জমে উঠেছে শীতের কাপড় বেচাকেনা। শীতে নিজেকে একটু উষ্ণ রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রথমে অবশ্য তালা উপজেলাতে শীতের আমেজ তেমন একটা ছিল না তবে হঠাৎ গত কিছুদিন আগে ঝিরঝির বৃষ্টি নামায় জেকে বসেছে শীত। সেই লক্ষ্যে উপজেলায় বেড়েছে শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড়।
খোলা দোকান থেকে শুরু করে বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। উপজেলার তালা সদরের জেলা পরিষদ মার্কেট,উত্তর ও দক্ষিণ জাতপুর বাজারের ছোট বিপণী বিতানগুলোতে স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে শীতের কাপড়।
তালা সদরের খোলা বাজারের শীতের কাপড় বিক্রেতা জানান, শীতের পোশাক ও আনুষাঙ্গিকের বিক্রি মোটামুটি ভালোভাবেই শুরু হয়ে গেছে। আমার এখানো দেশের বাহিরে/ অন্য এলাকা থেকে আনা পুরাতন কম দামের শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে।
তালা জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে থেকে শীতের কাপড় (জ্যাকেট) কিনেছেন সাইদুর রহমান ও সবুজ। তারা জানান, পুরোপুরি শীত অসেনি তবে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায়া শীত একটু বেড়েছে। এই সময় কিছুটা কম দামে কেনাকাটা করা যায় বলেই আগে ভাগেই ও অনেকগুলো দেখে একটা কিনা যায়।
অন্যদিকে বিপণী বিতানগুলোর মালিকরা বলছেন, আমরা এখনও তেমনভাবে শীতের কাপড় কেনার কাস্টমার পেতে শুরু করিনি। আসলে আমাদের কাস্টমাররা একটু নতুনত্ব চায়। যে কারণে তারা নতুন ধরনের আইটেমের জন্য অপেক্ষা করছে। যদিও আমরা শীতকে সামনে রেখে নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছি। এই সময় অন্যান্য বারের চেয়ে ছেলেদের শীতের কাপড়ের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি।
মৌসুমের শুরুতেই এবার বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোর্ট, টুপিসহ বাচ্চাদের নানা রংয়ের ও ডিজাইনের শীতের পোশাক।
খোলা বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, শীতের কাপড়ের ব্যবসা অনেক বছর আগে থেকেই করি। বিক্রি ভালোই হচ্ছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে পাতলা ধরনের শীতের কাপড়। তবে এখন পুরো ধরনের শীতের কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে।