চলছে পৌষ মাস। এর মধ্যে আবার যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেথাই। এর প্রভাব কেটে গেলেও আসছে শৈত্যপ্রবাহ। এই শীতের দাপটে নাগরিকরা রীতিমতো জবুথবু। এ চিত্র ছিল রাজধানীসহ সারাদেশে। গায়ে কয়েকপ্রস্থ গরম কাপড় ও নানা ধরনের টুপি-মাফলার পরে লোকজনকে শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়ছে শীত। হিমেল বাতাসের সঙ্গে যোগ হয়েছে কুয়াশার দাপটও।
এ বিষয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারা দেশে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছু বেশি কমতে পারে।
রাজধানীতে দেখা গেছে, বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বৃষ্টিতে কৃষকের উপকার হয়েছে। বোরো ধান ও শাকসবজির জন্য সুফল বয়ে আনছে বৃষ্টি।
আবাহওয়া অফিসের এক কর্মকর্তারা জানান, আজ থেকে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয় নামে যে ঠাণ্ডা হাওয়া এত দিন ভারতের বিহার পর্যন্ত বিরাজ করছিল তা গতকাল থেকে ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর ধাক্কা শিগগিরই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে লাগতে শুরু করতে পারে।
গত মঙ্গলবার দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দিনাজপুরে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ২০, রাজশাহী, সিলেটে ২১.২ ও রংপুরে ছিল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিন-চার দিন পর দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তাপমাত্রা নিচের দিকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে।