একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। তার আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে তাদের কোন বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না এবং অন্য সব বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেই কেবল তারা ‘এ্যাকশনে’ যাবে।
আমরা কখনো বলিনি যে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে। সেনাবাহিনী যখন কোন এ্যাকশনে যাবে তখন সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিক্রমেই তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। শুধু র্যাব ও পুলিশের সাথে কোন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন না- তারা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই এ্যাকশনে যাবেন।
২৪ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে’ তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বুধবার বলেন, সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। তবে যদি তারা কোন ‘এ্যাকশনে’ যায় – তাদের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট যাবেন।
কবিতা খানম বলেন, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় চার-পাঁচটি স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। প্রথম স্তরে পুলিশ, তার পর বিজিবি, তারপর র্যাব – তার পরে থাকবে সেনাবাহিনী। যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অন্য সব বাহিনী ‘ফেল’ করছে – শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে।
যদি তেমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত কে নেবেন? প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, এটা তো রিটার্নিং অফিসারই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সেনাবাহিনীকে ইনফর্ম করবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসারই নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তিনি বলেন, জেলা থেকে উপজেলা স্তর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট থাকবে। তারা ভিজিবল থাকবে – অর্থাৎ তাদের উপস্থিতি দেখা যাবে, কিন্তু পুলিশ, বিজিবি, র্যাব এই তিন বাহিনীও থাকবে।