Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুরে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৩ PM
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৩ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-৩ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নির্বাচনী গণসংযোগকালে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কোতয়ালী থানা থেকে একটু দূরে শহরের চকবাজার চালপট্টির সামনে সাপ্তাহিক হাটের ভেতর প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর চাঁদপুর ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রার্থীর একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

এ সময় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ হাটের পসরার উপর পড়ে যেতে গেলে সাধারণ জনতা তাকে ধরে তুলেন। এ ঘটনার পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। থানার অদুরে হেলমেট বাহিনীর এ হামলার ঘটনার পর ধানের শীষের প্রার্থী নিরাপত্তার বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ঘটনার পরই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেলা সাড়ে ১১টা হতে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ চকবাজারে গণসংযোগ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দিনি চকবাজারে সাপ্তাহিক হাটের দোকানী ও ক্রেতাদের মাঝে ছিলেন। ৩০ জনের মতো নেতাকর্মী তার সাথে ছিলেন।

থানার দিকে যাওয়ার পথে অপর দিক হতে হকিষ্টিক ও লাঠিশোঠা নিয়ে প্রায় ২০ জনের মতো যুবক তার সামনে দিয়ে এসে পেছনে যায়। এরপর তারা অতির্কত পেছনের সারিতে থাকা শহর বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত হোসেন লাবলুর উপর হামলা করে। এসময় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।

হামলায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, শহর বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান চুন্নু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সামসুর রহমান কুটু, কাঁচা মালের ব্যবসায়ী ফারুক, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ জালাল শেখ সহ কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। এদের মধ্যে আহত লিয়াকত হোসেন লাবলুকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস আলী শেখ জানান, তিনি চৌধুরী কামাল ইউসুফের শরীর ঘেষে একেবারে ডান পাশে ছিলেন। এ সময় হেলমেটপরা এক যুবক তার কলার ধরে টেনে পেছনে নিয়ে সজোরে আঘাত করে। এরপর তারা এলাপাথারী হামলা চালায় আমাদের উপর।

এ ঘটনার পর চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ নেতাকর্মীদের থানা রোডে অবস্থান নেন এবং কোতয়ালী থানার ওসি এএফএম নাসিমকে বিষয়টি জানান। এ সময় হামলাকারীরা অদুরে কোতয়ালী থানার সামনে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল কুমার দে হামলাকারীদের সরিয়ে কামাল ইবনে ইউসুফ গাড়িতে উঠিয়ে দেন। এরপর কামাল ইবনে ইউসুফ সদর হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে।

এ ঘটনার পর চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে সালমা তানজিয়ার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে হামলার ঘটনা জানান। জেলা প্রশাসক এসময় বিষয়টি দেখবেন বলে তাকে আস্বস্থ করেন। কামাল ইবনে ইউসুফ এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচনী প্রচারণার পরিবেশ তৈরির জন্য সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট ইসারত হোসেন জানান, সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সাপ্তাহিক হাটে নির্বাচনী প্রচারণার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচীকে কেন্দ্র কওে সেখানে নেতাকর্মীদেও হাতপা কেটে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। রাতে পুলিশ সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। পুলিশ নৌকার কর্মীবাহিনী হয়ে কাজ করছে। রিপোর্ট লেখার সময় সেখানে ৭/৮টি মাইক্রোবাস ও ২০টির মতো মোটর সাইকেলে করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় সেখানে প্রচারণার কর্মসূচী স্থপিত করা হয়েছে।

এ দিকে, শহরের গোপালপুরে ধানের শীষের একটি প্রচার মাইকের ব্যাটারী নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ঝিলটুলীতে নারীদের একটি প্রচারণা টিমকে প্রচারণা বন্ধ করে চলে যেতে বাধ্য করেছে।

ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেত্রী মৌসুমী হক জানান, শহরের ঝিলটুলীতে ধানের শীষের লিফলেট বিতরণ করার সময় সেখানে মোটরসাইকেলে চেপে এক যুবক এসে তাকে বলে যে, এখানে সবাই নৌকার লোক। আপনি এখানে ধানের শীষের কোন প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

Bootstrap Image Preview