নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় আবুল হোসেন (২২) নামের এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে স্ত্রী ও শাশুড়ি পালিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাড়িতে। নিহত যুবক আবুল হোসেন ওই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আবুল কাশেম কন্টাক্টরের ছেলে।
নিহতের পিতা আবুল কাশেম কন্টাক্টর গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, তার ছেলে প্রতিবেশী প্রবাসী জাকের হোসেনের মেয়ে মাইমা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আড়াই মাস আগে পরিবারের অজান্তে পালিয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বেধম মারধর করে। এক পর্যায়ে আবুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিলে স্ত্রী মাইমা ও শাশুড়ি জীবন নাহার আবুল হোসেনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে স্ত্রী ও শাশুড়ি আবুল হোসেনের লাশ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে আবুল হোসেনে পিতা আবুল কাশেম কন্টাক্টর ছেলে লাশ উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সেনবাগ থানার এসআই বাবুল সরকার লাশ উদ্ধারের জন্য ফেনী রওয়ানা দেন।