ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির বলেছেন, অসমের বাইরে কোথাও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রয়োগের পরিকল্পনা নেই সরকারের। এদিকে এনআরসি প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ‘উইপোকা’। তাদেরকে বেছে বেছে বিতাড়ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
ভারতের কেন্দ্রে ও রাজস্থানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরে এলে অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করা হবে বলেও তিনি বলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও এনআরসি প্রসঙ্গ উথাপন করে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশিদের ‘ঘাড় ধাক্কা’ দিয়ে বের করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘একদিকে তাঁরা দলিতদের সর্বনাশ করছেন, আবার তাঁরা দলিতদের জন্য সংগঠন করছেন। একদিকে তাঁরা আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে বনবাসী পরিষদ গড়ে তুলছেন। এদিকে তাঁরা সংখ্যালঘুদের সর্বনাশ করছেন, অন্যদিকে মুসলিম মঞ্চ নামে সংগঠন গড়ে তুলছেন। সুতরাং বিজেপি মুখে যা বলে কাজে তার বিপরীত করে। বিজেপি পাঁচ রাজ্যের ভোটে হেরেছে বলে তাঁরা সংসদীয় পথের কথা লোকসভায় বসে বলছেন। এখন লোকসভায় বসে তাঁরা যেকথা বলছেন, তাঁদের নেতা, লোকসভার নেতা প্রধানমন্ত্রী সেকথাটা বাইরে বলুন। বিজেপি দলের যিনি সভাপতি (অমিত শাহ), তিনিও সেকথা বাইরে বলুন যে আমাদের অসম ছাড়া অন্য কোথাও এনআরসির পরিকল্পনা নেই। যদি তাঁরা বলেন তাহলে বুঝতে পারব যে বিজেপি যা বলছে তার মধ্যে আন্তরিকতা আছে। এটা হচ্ছে আমার ধারণা কেবলমাত্র কথার কথা।’
‘ওঁরা সংসদে যাই বলুন, বাইরে কিন্তু এই বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাবেন। বিদ্বেষ, বিভাজন, বিস্ফোরণ ও বিদেশি আতঙ্ক, বিদেশি বিনিয়োগ এদেশে বাড়িয়ে দেশের সম্পত্তি বিদেশে বিক্রি করা ছাড়া বিজেপির আর কোনও রাস্তা নেই। সুতরাং ওঁরা খুব সহজেই বিভাজনের খেলা থেকে সরে যাবেন বলে মনে হয় না’ যোগ করেন অধ্যাপক ড. ইমানুল হক।