Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন লতিফ সিদ্দিকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০৪ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:০৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের বারান্দায় শুয়ে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচণ্ড শীতের কারণে গতকাল সোমবার রাতে তাকে ডিসি অফিসের সামনের প্যান্ডেল থেকে বারান্দায় নেয়া হয়েছে।

এদিকে টানা দুইদিনের অনশনে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। ইতোমধ্যেই তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়াসহ হৃদস্পন্দন (হার্টবিট) ও রক্তচাপ কমে গেছে। দ্রুত তাকে স্যালাইন দেয়াসহ হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. শরীফ হোসেন খান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আমরণ অনশনরত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান।

ডা. শরীফ হোসেন খান বলেন, টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে আজই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তার শারীরিক এ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি ও স্যালাইন দেয়ার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি রাজি হননি। এর পরিবর্তে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দাবি মেনে নেয়া হলেই চিকিৎসায় যাবেন।

১৬ ডিসেম্বর (রোববার) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের বল্লবভবাড়ি ও সরাতৈল এলাকায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা হয়। এ সময় বহরে থাকা চারটি গাড়ি ভাঙচুর এবং তার অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। লতিফ সিদ্দিকী হামলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর কর্মীদের দায়ী করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। পরে সোমবার দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন লতিফ সিদ্দিকী।

ধর্মঘটস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডিসি অফিসের বারান্দায় চৌকিতে কম্বল গায়ে শুয়ে আছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার পাশে কয়েকজন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। তবে উভয় পাশে পুলিশ পাহারা থাকায় তাকে দেখতে সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

Bootstrap Image Preview