Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনী ইশতেহার এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি: শেখ হাসিনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩২ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩২ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে তা বাস্তবায়ন করতে পারি। ইতিপূর্বে আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম তা বাস্তবায়ন করেছি।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি একথা বলেন। এবারের ইশতেহারের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা হবে। জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন থাকবে। নারীর ক্ষমতায়, স্থানীয় সরকার: জনগণের ক্ষমতায়ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, তরুণ যুবসমাজ: ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস।আগামী ৫ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাবে শহরের সকল সুবিধা। ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

তিনি বলেন, শিল্প শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৮ হাজার মেগাওয়ার্ট। ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। পদ্মাসেতুর দুইপাড়ে আধুনিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় হবে ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’ নিমার্ণ করা হবে। ৬৫ বছরের ওপরে সবাইকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।

জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারের কাজ আগামীতে অব্যাহত থাকবে। পুলিশসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার কাজ চলমান থাকবে।

‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। আমার গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলবো গ্রামকে। যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’।

‘২০২০ সাল নাগাদ উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষায় নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত বর্তমানের ৭০ থেকে ১০০ শতাংশে বৃদ্ধি করা হবে। প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে নারীর অধিক সংখ্যায় নিয়োগের নীতি আরো বৃদ্ধি করা হবে। নারী উদ্যোক্তদের উৎসাহিত করতে তাদের জন্য আলাদা ব্যাংকিং সুবিধা, ঋণ সুবিধা, কারিগরি সুবিধা ও সুপারিশসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ গড়ে তোলা হবে। নারীদের পুরুষের সমান মজুরীর নিশ্চয়তা দেয়া হবে।’

এর আগে ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তার সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview