Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংকটের মধ্যেই নতুন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১৮ PM
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১৮ PM

bdmorning Image Preview


গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার বিষয়ে এর আগেও বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেছে পেট্রোবাংলা কর্মকর্তারা। কিন্তু একের পর এক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করায় সেগুলো বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। গ্যাসের সংকটের মধ্যেই গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল)।

প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান না হলেও ময়মনসিংহে ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার আগ্রহ দেখিয়ে দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে সিএনটিআইসি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে সিএনটিআইসি দরপ্রস্তাব জমা দেওয়ার পর জরুরিভাবে প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে করার অনুরোধ করেছে। কোম্পানি জানায়, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সব ধরনের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

সারা বছর গড়ে  ৬০০-৮০০ মেগাওয়াটের গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি সংকটে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যেখানে পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্রই গ্যাসের অভাবে চালানো যাচ্ছে না সেখানে আবার কেন নতুন কেন্দ্র বসানো হচ্ছে।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, এলএনজি আসলে দেশে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। তখন এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও দেশে এলএনজির সরবরাহ আর গ্যাসের চাহিদা তা সমন্বয়ন করে বলা হচ্ছে, আগামীতে আরও একটি টার্মিনাল ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করলেও দেশে গ্যাসের ঘাটতি থাকবে। তাহলে কীভাবে নতুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন একটি টার্মিনাল দিয়ে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে। দেশে এখনও দৈনিক প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট রয়েছে।

মার্চে সিএনটিআইস আশুগঞ্জ ইস্ট ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একটি প্রতিযোগিতামূলক দরের মাধ্যমেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে এসব অভিজ্ঞতার আলোকে কোম্পানিটি একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে।

কোম্পানিটি গত ১০ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ সচিব বরাবর পাঠানো এই চিঠিতে দরপত্রের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার পাশাপাশি দরপ্রস্তাব মূল্যায়নের বিষয়টি যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয় সে বিষয়ে জোর দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদিয়ায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে ১৬  একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে শম্ভুগঞ্জে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে আরপিজিসিএল।

Bootstrap Image Preview