Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংলাপে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৪৬ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংলাপে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কে দায়িত্বরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী।

তুরস্কের ইস্পার্টা শহরে অবস্থিত সুলেমান ডেমিরেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে  সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১০ ডিসেম্বর-২০১৮ বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারার উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রশাসন অনুষদের সহযোগিতায় এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্টাডি সেন্টারে দুই ঘণ্টাব্যাপী উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যার বিষয় ছিল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত। সেমিনারে তিন শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।

রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর উপস্থাপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধ এবং তার প্রেক্ষাপট, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অর্জিত অভিজ্ঞতা, বর্তমান সরকারের পরিচালনায় অর্জিত উন্নয়ন মাইলফলকসমূহ, ভারসাম্যভিত্তিক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি, গঠনমূলক পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংলাপে বাংলাদেশের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অপার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সম্পর্কের একটি ইতিবাচক মূল্যায়ন উপস্থাপন করেন।

এছাড়া, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং এ অঞ্চলে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রবাহ আলোচনায় উঠে আসে। সেমিনারের শুরুতে দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ওষুধশিল্পে অর্জিত অগ্রগতির ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

সেমিনারের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর ড. ইলকের হোসেঈন চারিকচিসহ ভাইস-রেক্টর এবং শিক্ষকবৃন্দের একাংশের সাথে রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সুলেমান ডেমিরেলের নামে নিজ শহরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সর্বমোট ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এটি তুরস্কের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের ১০ জন ছাত্র বর্তমানে অধ্যয়নরত।

Bootstrap Image Preview