সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সংরক্ষিত জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ১৮টি পরিযায়ী পাখিসহ চার শিকারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গুয়ার হাওরের নিরাপত্তা কাজের তদারকিতে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এক অভিযানে টুকরি ভর্তি পাখিসহ চার ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর (উওর) ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওর তীরবর্তী লামাগাঁও গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে আজিম উদ্দিন, একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শফিক মিয়া, নুরুল হকের ছেলে ইয়াসিন মিয়া ও খাইরুল আমিনের ছেলে সেনারুল মিয়া।
জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সংরক্ষিত জলাভুমি টাঙ্গুয়ার হাওরের উলান বিল নামক একটি জলমহালে বুধবার সকালে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারকালে ওই চার পাখি শিকারীকে ১৮টি পরিযায়ী পাখি সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ আটক করে।
পরবর্তীতে টাঙ্গুয়ার হাওরের নিরাপক্তা কাজের তদারকিতে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে হাওরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক পাখি শিকারীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে উদ্ধারকৃত পরিযায়ী পাখিগুলোকে উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদের পুকুরে অবমুক্ত করে দেয়া হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর একদিকে যেমন বিশ্ব ঐতিহ্য বহন করে তেমনি এ হাওরের অতিথি পাখি দেখতে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ছুটে আসেন কিন্তু কিছু মুনাফালোভী লোকজন এসব পাখি শিকার করে বিক্রি করতে শীত মৌসুমে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরো বলেন, পাখি শিকারি ও বিক্রয়কারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে হাওর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে যারা পাখি শিকার করেন ও পাখি বিক্রি করছেন তাদের ব্যাপারে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে টাঙ্গুয়ার হাওরে যে কোন মূল্যে পাখি শিকার ও বিক্রয় বন্ধ করা হবে।