প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ও গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আমরা বিব্রত হয়েছি।
নির্বাচন ভবনে বিচারিক হাকিমদের ব্রিফিংয়ে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হুদা বলেন, ‘গতকাল নোয়াখালীতে একজন যুবক নিহত হয়েছে। এটা আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করেছে। আমাদের অনেক ব্যথা দিয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমরা এতে বিব্রত। সারাদেশে যে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি। সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেলো এটা কারো কাম্য হতে পারে না। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, কর্মী, প্রার্থী, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষি, সবার প্রতি অনুরোধ করতে চাই- আপনারা ধৈর্যশীল আচরণ করবেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন, কারো নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না, একে অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন। যেকোনো উত্তেজনাকর, উদ্বেগজনক নির্বাচন পরিপন্থি ও অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম পরিহার করবেন এবং নিজেরাই তার প্রতিহত করবেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
১০ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা প্রচার কাজে নামেন। সিইসি ১১ ডিসেম্বর বলেন, নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে কিন্তু সেটা যেন উত্তপ্ত না করে। এদিন বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রার্থী সমর্থকদের সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানান।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।