আজ ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ আসলে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৮ ডিসেম্বরের এই দিনে ভালুকা ক্যাম্পের কয়েক হাজার রাজাকার, আলবদর ও পাক সেনার আত্মসর্মপনের মধ্য দিয়ে ভালুকা মুক্ত হয়। সেদিনের কুয়াশা চাদর ঘেরা ভোরে প্রচন্ড গুলাগুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে ভালুকার মুক্তিকামী জনতার।
মুক্তি বাহিনী সেনাদের আক্রমণের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা সূর্য্য উঠার আগেই ভালুকা ক্যাম্প ছেড়ে পাশ্ববর্তী গফঁরগাওয়ের উদ্দেশ্যে সড়ক পথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। অনেক রাজাকার অস্ত্র ফেলে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে গেলেও বেশীরভাগ আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। পরে মুক্তিরা তাদেরকে ভালুকায় ফিরিয়ে আনে। ভোরের আলো ফুটতেই জয় বাংলা ধ্বনি তুলে গ্রাম থেকে দলে দলে লোক জমা হতে থাকে হানাদার মুক্ত ভালুকা সদরে।
আটককৃত রাজাকারদের প্রতি ঘৃনা ও ধিক্কার জানায় স্বাধীন ভালুকার সর্বস্তরের মানুষ। ১৯৭১সনের মুজিবের নির্দেশে বাংলাকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ৭১'র ১৭ই এপ্রিল বৃটিশ ভারত সেনাবাহিনীর (অব.) সুবেদার তৎকালীন ভালুকা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফসার উদ্দিন ১টি মাত্র রাইফেল ও ৮জন সদস্য নিয়ে মল্লিকবাড়ী বাজারে গোপনে মুক্তিবাহিনী দল গঠন করেন।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভালুকা উপজেলা কমান্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কবর জিয়ারত, মুক্তিযোদ্ধা জনতা বিজয় র্যালি ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।