Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খবরে নাম না আসায় সাংবাদিকদের চোখ তুলে নেয়ার হুমকি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৪ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


পত্রিকায় নিজের নাম না আসায় বুধবার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়ে স্থানীয় চার সাংবাদিকদের চোখ তুলে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।জাহাঙ্গীর আলম খাঁন ধর্মপাশা উপজেলার বেকইজুড়া গ্রামের মৃত সজল খাঁনের ছেলে।

এ ঘটনার পর বুধবার রাতে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে মধ্যনগর থানায় জিডির আবেদন করেন হুমকিপ্রাপ্ত মধ্যনগরে প্রেসক্লাব সভাপতি এমএ মন্নান, সাধারণ সম্পাদক অমৃত জ্যোতি, দপ্তর সম্পাদক আল আমিন আহম্মদ সালমান ও এটির সদস্য  সুরঞ্জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবিতে মধ্যনগর থানা সদরের প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা করেন সাংবাদিকগণ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে মধ্যনগর থানা সদর বাজারে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতা তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়েই মধ্যনগরে প্রেসক্লাব সভাপতি এমএ মন্নান, সাধারণ সম্পাদক অমৃত জ্যোতি, দপ্তর সম্পাদক আল আমিন আহম্মদ সালমান ও এটি সদস্য সুরঞ্জন সহ চার প্রতিনিধিকে চোখ তুলে নেয়ার পাশাপাশী প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। হুমকির পাশাপাশী প্রেসক্লাব সভাপতির চশমা চোখ থেকে খুলে নেয় অভিযুক্তরা। এছাড়া অন্যান্য সাংবাদিকদের উপর হামলার চেষ্টাও চালায় ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা।

ছাত্রলীগ নেতার জাহাঙ্গীর আলম খানের সঙ্গে তার সহযোগী হিসেবে মধ্যনগরের জমশেদপুরের মণি বিশ্বাস,মধ্যনগর বাজারের আল মামুন, কান্দাপাড়ার অপু সরকার দুগনই গ্রামের পরান মিয়াসহ আরো ৭ থেকে ৮  জন যুক্ত ছিলেন।,

মধ্যনগর থানা প্রেক্লাবের সভাপতি এমএ মান্নান বলেন, বুধবার যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সংবাদে জাহাঙ্গীরের নাম না আসায় সে এবং তার অপর সহযোগীরা আমাদের চার সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চশমা খুলে নেওয়াসহ হামলার চেষ্টা, গালিগালাজ ,চোখ তুলে নেয়ার হুমকি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেছে।’ 

মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মধ্যনগর থানার ওসি সেলিম নেওয়াজ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

 

Bootstrap Image Preview