Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৫ বছরেই কোটিপতি এমপি মতিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৫০ PM
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:১৪ PM

bdmorning Image Preview


টাকা। টাকা আয়ের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি। এমনটিই হয়েছে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আওয়ামী লীগ এমপি আবদুল মতিনের।

পাঁচ বছর আগে তার ছিল ৪০ হাজার টাকা। এখন হয়েছে কোটিপতি। দুটি দামি গাড়ির মালিক। পাল্টে গেছে পেশায়। বর্তমানে আ'লীগের সংসদ সদস্য। আ'লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন আবদুল মতিন। তাতে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে লিখেছিলেন ‘এইচএসসি’। এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমা দেওয়া হলফনামায়ও তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা একই লিখেছেন।

আগেরবার পেশার ঘরে আবদুল মতিন লিখেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ওই পেশা থেকে পাওয়া সম্মানী বাবদ তাঁর বছরে আয় হতো ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের কাছে নগদ মাত্র ৪০ হাজার টাকা ছিল; ব্যাংকে কোনো টাকা থাকার কথা উল্লেখ করেননি। এর বাইরে স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবসামগ্রী ছিল। যৌথ মালিকানায় তাঁর ৫ একর স্থাবর সম্পদ ছিল।

২০১৪ সালে আবদুল মতিনের কাছে ছিল মাত্র ৪০ হাজার টাকা। এখন নগদ ও ব্যাংক মিলে আছে কোটি টাকার বেশি।

এবারের হলফনামায় সাংসদ পেশা হিসেবে ‘কৃষি’ উল্লেখ করেছেন। তবে আয়ের কোনো খাত দেখাননি তিনি। সাংসদ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর নিজের কাছে নগদ ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যাংকে জমা আছে ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ টাকা। গাড়ি আছে দুটি। একটির দাম ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অপরটির মূল্য ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ১১৮ তোলা স্বর্ণালংকার আছে। বাড়িতে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবসামগ্রী রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সাংসদ। স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে তিনি নিজের নামে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৪ শতক কৃষিজমি, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতক অকৃষিজমি দেখিয়েছেন। সাংসদের কোনো ঋণ বা দায় নেই বলে উল্লেখ করেছেন।

এমপি আবদুল মতিন একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা সম্মানী পান। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে নগদ ও ব্যাংকে টাকা বেড়েছে। আয়ের টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছেন। সরকারিভাবে তিনি কিছু জমিও পেয়েছেন।

Bootstrap Image Preview