একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সাতক্ষীরার চরম বিপাকে পড়েছে, মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বামদলসহ স্বতন্ত্রভাবে জামায়াত মনোনয়ন পত্র দাখিল করায় কোন আসনে কে হচ্ছেন কোন জোটের প্রার্থী সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণ পশ্চিমের সুন্দরবন ঘেষা জেলা সাতক্ষীরা। যার আয়তন ৩ হাজার ৮'শ ৫৮ বর্গকিলোমিটার। জেলায় ৪ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও ৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তারা। বিএনপির মিত্র দল জামায়াত ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করলে মহাজোটের সাথে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের সহিংসতার কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে সাতক্ষীরার মানুষ বর্জন করায় তাদের সাংগঠনিক অবস্থান ভেঙ্গে পড়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমত উল্লাহ পলাশ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বর্জন করলেও এবারের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে বিএনপি।
সাতক্ষীরায় নারী ও তরুণ ভোটারদের উপর অনেকটা নির্ভর করছে জয়-পরাজয়। তার পরেও সাধারণ ভোটারা বলছেন, জেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে এমন সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন তারা।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ভোটারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সে জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের আগে ও পরে কঠোর অবস্থানে থাকবেন।
সাতক্ষীরা জেলার মোট ৪টি আসনে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। ৭টি বাতিল হওয়ায় ৩১ জন প্রার্থী এখন মাঠে রয়েছেন।