Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দরে নির্মাণ হচ্ছে টার্মিনাল

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৩২ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৩২ PM

bdmorning Image Preview


দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কয়েকটি টার্মিনাল। এছাড়া পায়রা বন্দর থেকে মালামাল দেশের অন্যত্র পরিবহনের জন্য রামনাবাদ চ্যানেল ৬৫০ মিটার দৈর্ঘের একটি জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি ডিটেইলড প্রজেক্ট প্রফর্মা (ডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পায়রা বন্দরকে দ্রুত কার্যকর করতে ২০২০ সালের মধ্যে এসব টার্মিনাল নির্মাণ করতে চায় সরকার।

পায়রা বন্দর সূত্র থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পায়রা বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটের ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেজিংকৃত বালু পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি ভরাট ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনার কাজে ব্যবহার হয়েছে। বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হবে খুব দ্রুততম সময়ে। ক্রয় হচ্ছে পাইলট বোট, হেভি ডিউটি স্পিড বোট, টাগ বোট, বয়া লেয়িং ভেসেল, জরিপ বোট। পায়রা-রজপাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে জাতীয অর্থনীতিতে দ্রুত হবে গতিশীলতা। পায়রা বন্দরের আর্থিক উন্নয়নে এসব গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা। 

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা বা বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে। বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে ১৯টি কম্পোনেন্টের সবগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্নকরা হচ্ছে। ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে এ ড্রেজিং সম্পন্ন করা হবে এককভাবে সুয়েজ খাল খননের অভিজ্ঞতা থাকা আর্ন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুলের মাধ্যমে। ৩৬ দশমিক ৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার ও টার্মিনাল এলাকায় ১১ মিটার গভীরতায় ড্রেজিংয়ের প্রাক্কলিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এনিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম ও জান ডি নুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর এক হোটেলে এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়। পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়নে যৌথ কোম্পানি গঠনেরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বন্দর বাস্তবায়নে সব কাজের তত্ত্বাবধানও করবে এই যৌথ কোম্পানি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়ার টিয়াখালীতে দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দরের প্রকল্প কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অবহেলিত অজ পাড়াগাঁয়ের অর্থনৈতিক দিন বদলের গোড়াপত্তন করেছিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ বন্দরের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। যার সফলতা শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট। বন্দরটি অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয় ওই দিন নৌপথে পণ্য খালাশের কার্যক্রমের মাধ্যমে।

Bootstrap Image Preview