Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করছে পটুয়াখালীর শহীদ স্মৃতি পাঠাগার

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২২ PM
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২২ PM

bdmorning Image Preview


মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার দাবিতে জীবনবাজী রেখে যারা রাজপথ কাঁপিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি বহন করতে নির্মিত হয়েছে পটুয়াখালীর শহীদ স্মৃতি পাঠাগার।

১৯৫৪ সালের ১৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু হয়েছিল এ পাঠাগারের। স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদের রাজনীতির হাতেখড়ি এ পাঠাগার থেকে। সামাজিক এ প্রতিষ্ঠানটি প্রগতিশীল রাজনীতির সুতিকাগার এই পাঠাগার। বাহান্নের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান এবিএম আবদুল লতিফ। পুলিশের ট্রাক থেকে পালিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে শহীদদের রক্তমাখা কাপড় নিয়ে ফিরে এসেছিলেন পটুয়াখালী। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী পটুয়াখালীর আরেক কৃতি সন্তান সৈয়দ আশরাফ হোসেনের সঙ্গে জুবিলী স্কুল মাঠে সতীর্থদের সাথে সভা করেন। সেখানে কবি খোন্দকার খালেককে আহবায়ক করে গঠন করেন পটুয়াখালী মহকুমা বাংলা ভাষা আন্দোলন পরিষদ।

পাঠাগারে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম সুয়িফা কামালসহ অনেক বরেন্য মনীষী। এরপর থেকে শুদ্ধ বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চার আধার হিসেবে পাঠাগারটি অগ্রগন্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

তবে নতুন প্রজন্ম এ পাঠাগারে এসে জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি নিজেদেরকে সংস্কৃতি চর্চায় যুক্ত রাখলেও কালের বিবর্তনে জৌলুস হারাচ্ছে স্মৃতি বিজরিত এ স্থাপনাটি। পাঠাগারটির এখন জরাজীর্ন দশায় মনোকস্টে ভূগছেন এর সতীর্থরা।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন বলেন, পাঠাগারটিকে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে। 

Bootstrap Image Preview