দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বারখ্যাত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে পদ্মা নদীতে এখনও চলছে নাব্য সংকট। চ্যানেলের পলি অপসারণে ৬টি ড্রেজার চালু রয়েছে। এছাড়া ভেকু দিয়ে লুজ পলি অপসারণের চেষ্টা চলছে। অত্যাধিক স্রোতের কারণে ড্রেজিং কাজে সমস্যা হচ্ছে। ফলে দফায় দফায় ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। পলি জমে চ্যানেল সরু হয়ে যাওয়ায় এ রুটের ১০টি রোরো ও ডাম্প ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিন দিন ধরে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। রোববারও উভয়পারে আটকা পড়েছে ছোটবড় শত শত যানবাহন। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে চলছে ৫টি ছোট ও কেটাইপ ফেরি। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে এ রুটে সাড়ে পাঁচ ফিট ড্রাফের বেশি লোড নেয়া হচ্ছে না।
তাই পণ্যবাহী ট্রাকসহ ভাড়ি যানবাহন বহনকারী ফেরিগুলোকে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্বে ব্যবহার করা শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি সোজা ও ন্যাচারাল চ্যানেল দিয়ে কয়েকটি ছোট ফেরি হালকা যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে।
দৌলতিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এ রুটে নিয়মিত চলাচলরত ৩টি রোরো ফেরি ও ১টি কে-টাইপ ফেরি পাঠানো হয়। করবী নামের একটি ফেরি পাঠানো হয়েছে চাঁদপুর-হরিনা ঘাট রুটে। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালিদ নেওয়াজ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে একটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়, যা স্রোতের সঙ্গে ক্রমাগত পলি জমে চ্যানেলের মুখে বড় ডুবোচর সৃষ্টি করে।
এতে ফেরিচালকরা প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। ডুবোচরে আটকে ফেরির প্রপেলারসহ ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হতো। অনেক চেষ্টা করেও চ্যানেলটি চালু করতে না পারায় এ রুটে রোরো ও ডাম্প ফেরি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।