বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় ফখরুল আরও বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এই কথাগুলো আমরা বার বার বলেছি এবং বলেই যাচ্ছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রেখেছি। কারণ আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বা সরকারের কর্মকাণ্ডে এতোটুকুও প্রতীয়মান হয়নি যে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তাদের উৎসাহ আছে।
তিনি বলেন, এখনো গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলছে, মামলা চলছে, হয়রানি চলছে। কিছুক্ষণ আগে আমি কোর্ট থেকে আসলাম। আমাদের সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। তারা এখনো জেলে আছে। তারপরও আমরা নির্বাচনের কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করছি,
বিএনপি'র প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে ফখরুল বলেন, চারদিন ধরে আমাদের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদেরও সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। ২০ দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। এখন এগুলো চূড়ান্ত করার জন্য সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌছবে বলে আশা করছি।
নির্বাচন কমিশন বলছে বিএনপির দাবি অযোক্তিক, এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনারা জানেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার স্টেটমেন্ট দিয়েছেন পুলিশের সামনে। বক্তব্য দিয়েছেন তাদের মিটিংয়ে। এটাই যথেষ্ট। দ্বিতীয়ত প্রত্যেকটি দল ও জোট বলছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন এমন কিছু করেনি যাতে বলতে পারি তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। আমরা যে গায়েবী মামলার তালিকা দিলাম সে সম্পর্কে এখনো তারা কিছু করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে বদলি বা সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলাম তাদের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছে কাউকে সরানো হবে না।
গতকাল ইসি আরো মারাত্মক কথা বলেছেন জানিয়েছেন তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। তারা আমাদের নির্দেশেই সব করছে। তাহলে যতো গায়েবী মামলা, মিথ্যা মামলা ও যতো হ্যারাসমেন্ট হচ্ছে সবই তাদের নির্দেশে হচ্ছে। এটা হলে তো কোন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর মুক্তি চেয়েছি সেটা দেয়নি। বরং পাল্টা একটার পর একটা মামলা দিচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের নির্বাচন করার যোগ্য সিনিয়র নেতাদের কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এরপরও আমরা নির্বাচনের কাজ করার চেষ্টা করছি। মাঠে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা শেষ পর্যন্ত এই লড়াই করে যাব। আমরা বিশ্বাস করি, শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে থাকতে পারি। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি বড় রকমের বাঁধা হয়ে না দাড়ায়। তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
বৈঠকে আরও যারা উপস্থিত ছিলেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।