Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রূপগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় থানায় মামলা, নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার

রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাহনা এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আহত হয় ১৫ জন। আহতরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ব্যাপারে আহতরা রূপগঞ্জ থানায় মামলা করে। মামলা তুলে না নিলে মামলার বাদীকে কেটে টুকরো টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে হামলাকারীরা। তাদের হুমকির পর থেকেই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদীসহ বাদীর পরিবার।

গত বুধবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম জানান, তার বাড়ি উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায়। মাহনা এলাকার মনির হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ে শাহনাজ বেগমের বিয়ে দেন। জামাতা মনির হোসেন নিজস্ব জমি দিয়ে ড্রেনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করতে থাকেন। এসময় একই বাড়ির প্রতিপক্ষ মান্নান মিয়া পাইপ বসানোর কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে মান্নান মিয়াসহ তার লোকজন মনির হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারে। এদিকে, মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা মনির হোসেনের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে গিয়ে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা শুনে প্রতিবাদ করেন।

এসময় প্রতিপক্ষ মান্নান মিয়াসহ তার লোকজন মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজের প্রতিবাদ করতে গেলে বাকবিতণ্ড ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের দুটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে মান্নান ও তার লোকজন। গাড়ি ভাংচুরে সহযোগীতা করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।

এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মান্নান মিয়াসহ তাদের লোকজন এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করিয়ে ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মনির হোসেনসহ মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্মীয় রাসেল মিয়া, সাইফুল ইসলাম, মহসিন মোল্লা, আশিকুর রহমান, আশরাফ, রাজু আহাম্মেদ, জামান মিয়া, রিয়াদ মিয়া, রবি মিয়া, ফরিদ, আফরোজা, সুফিয়া বেগম, মুন্না, শহিদুল আলমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সাইফুল ইসলামের নাড়ী-ভুড়ী বের করে দেয়া হয়। এরা দু’জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া আশরাফ ও রাজু আহাম্মেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া আহত অন্যান্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে মনির হোসেনের শাশুরী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মামলা তুলে না নিলে বাদীকে কেটে টুকরো টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম।

এলাকাবাসী জানান, এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করায় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মান্নান মিয়া। এলাকার মানুষ উস্কিয়ে দিয়ে তারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাবে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মান্নান মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview