রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে মিলেছে যশোরের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুর লাশ।
নিহত আবু বকর আবু যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত ৪ দিন আগে তিনি বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর মঙ্গলবার রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জ থানার ফেসবুক পেজে এ বিষয়টি দেখে আবু বকর আবুর লাশ সনাক্ত করেন তার ভাতিজা হুমায়ূন কবির।
আবু বকর আবুর ছোট বোন আঞ্জুমানারা বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছবি দেখে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেছি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু বলেন, আবু বকর আবু ঢাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শুনছি তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছান। সোমবার সাক্ষাৎকার বোর্ডে অংশ নেয়ার জন্য পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলে চতুর্থতলায় ৪১৩নং রুমে অবস্থান করছিলেন। রোববার রাত ৮টার পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে রাত ১০টার দিকে একটি মোবাইল ফোন থেকে কেশবপুরে অবস্থানরত তার এক ভাগনের কাছে ফোন দিয়ে তার মামার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সোমবার সকালে অপহরণকারীদের দেয়া বিভিন্ন নম্বরে দেড় লাখ টাকা বিকাশ করা হয়। পরে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর থেকে অপহরণকারীদের সব মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু গত ৪ দিনেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানরত তার ভাতিজা হুমায়ূন কবির জানান, তার চাচা নিখোঁজের ঘটনায় শাহাবাগ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। এরপর থানা পুলিশের একটি দল হোটেলে গিয়ে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। তবে এখনো এ ব্যাপারে থানায় কোনো জিডি বা মামলা রেকর্ড হয়নি বলে ঢাকায় অবস্থানরত তার ভাগনে আশিকুর রহমান জানান।
দক্ষিণ-কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ জামান জানান, গত সোমবার দুপুরে বুড়িগঙ্গার চর-খেজুরবাগ বেবী সাহেব ডগইয়ার্ড সংলগ্ন পানি থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরনে ছিলো সাদা পাজামা ও গেঞ্জি। পরে পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ লাশটিকে অজ্ঞাত হিসাবে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।